শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কাল আফগানিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠটোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ এবার এশিয়া কাপও হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুবাইতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে উদ্বোধনী ম্যাচেই সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে শুরু করেছে আফগানিস্তান।

ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আফগানরা এখন যেকোন দলের জন্য আতঙ্ক। তবে এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নয় টাইগাররা। অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ যেমন বলেছেন, ‘কারা ভাল দল তা মাঠেই প্রমাণ হয়ে যাবে। সব বিভাগে যখন ভাল খেলি, স্বাভাবিকভাবেই আমরা ম্যাচ জিতি, নিজেদের প্রমাণের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে।

অধিনায়ক সাকিব ব্যাট ও বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেও বাকিদের সহায়ক ভূমিকা নিতেই হবে। সাকিবের পাশাপাশি দুই অভিজ্ঞ যোদ্ধা সিনিয়র মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠাও খুব জরুরি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের পর তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে এ মাইলস্টোনের ম্যাচ নিশ্চয়ই স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া গোটা দল। ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১২১ উইকেট শিকার করেছেন, নামের পাশে রান দুই হাজারের ওপরে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বড় দুর্বলতা পাওয়ার হিটিংয়ের অভাব, বড় শটে দ্রুত রান তুলতে না পারা। নতুন কোচিং প্যানেলের অধীনে এ নিয়ে কাজ করেছে সাকিব-বাহিনী। এবার সেটা মাঠে প্রয়োগ করার পালা। অধিনায়ক নিজে অবশ্য বলেছেন, সবকিছু রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে।

যদিও আফগানরা ক্রিকেটটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে অনেক উজ্জীবিত, উদ্যমী একটি দল। তিন স্পিনার রশিদ খান, মুজিবুর রহমান আর মোহাম্মদ নবি এবং পেসার ফজল হক ফারুকি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সাজানো বোলিংটাই আফগানদের প্রধান শক্তি। জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী আমরা।’ তবে নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরাম বাস্তববাদী, তিনি স্বীকার করেছেন ‘টি-টোয়েন্টি ফরমেটে প্রতিপক্ষ হিসেবে আফগানিস্তান শক্তিশালী, এককভাবে কাউকে নিয়ে না ভেবে আমাদের দল হিসেবেই জ্বলে উঠতে হবে। কেবল রশিদ, মুজিব বা ফারুকি নয়, প্রত্যেকের জন্য প্রস্তুত ছেলেরা।’ শারজায় খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।

তাকে ঘিরে সব সময়ই আবর্তিত হয় টিম বাংলাদেশের শক্তি ও সম্ভাবনা। যদিও এবার এশিয়া কাপে আবার মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবার দলে ফিরেছেন অধিনায়ক হয়ে। মিরাজ আরও বলেন, ‘যে কোন টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জয় দিয়ে শুরু করতে আশাবাদী। আমাদের প্রতিপক্ষ কে, সেটা নিয়ে না ভেবে আমরা শুধু নিজেদের খেলায় মনোযোগ দিতে চাই।’

গত বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে কোন জয় ছাড়া দেশে ফেরার পর এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ৮টিতেই হার। সর্বশেষ জিম্বাবুইয়ে সফরে ব্যর্থতার পর ভিতটাই নড়ে ওঠে। স্বস্তির বিষয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ফের অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছে টাইগাররা। যা বড় স্বস্তির বিষয়। আজকের ম্যাচটা সাকিবের ক্যারিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি।

বাংলাদেশের সমর্থক, ভক্তরাতো বটেই- নিরপেক্ষ ক্রিকেট অনুরাগিরাও মনে করেন, সাকিবই বাংলাদেশের সম্ভাবনার আধার। তিনিই পারেন বাংলাদেশকে জেতাতে। তার ব্যাট ও বল হাতে জ্বলে ওঠার ওপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশের সাফল্য। এবারের এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানদের ভালো খেলার দুর্নিবার আকাঙ্খা, দৃঢ় সংকল্প আর দুর্দান্ত টিম পারফরমেন্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি লঙ্কানরা। তা দেখে অতিবড় সমালোচকও মুগ্ধ। অন্যদিকে বাংলাদেশ সমর্থকদের একটা অংশ খানিক চিন্তিত। তাদের সংশয়মাখা প্রশ্ন, বাংলাদেশ কি আফগানদের ওই শৌর্য-বীর্যর সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারবে?

২০১৮ সালের জুনে ভারতের দেরাদুনে বাংলাদেশকে চরমভাবে নাজেহাল করে ছাড়ে আফগানরা। তিন ম্যাচে ৮ উইকেট শিকারসহ প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১৩ রানে ৩ আর ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের ব্যাটিং মেরুদন্ড দুমড়ে-মুচড়ে সিরিজ সেরা হন আফগান তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগস্পিনার রশিদ খান। রুদ্ধশ্বাস প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ শেষ বলে গিয়ে হারে মাত্র ১ রানে। পরাজিত দলের হয়েও ম্যাচ সেরা হন মুশফিক (৩৭ বলে ৪৬)।

এশিয়া কাপে দলের প্রথম লক্ষ্য সুপার ফোর। ২০১৮ সালের জুনে ভারতের দেরাদুনে বাংলাদেশকে চরমভাবে নাজেহাল করে ছাড়ে আফগানরা। তিন ম্যাচে ৮ উইকেট শিকারসহ প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১৩ রানে ৩ আর ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের ব্যাটিং মেরুদন্ড দুমড়ে-মুচড়ে সিরিজ সেরা হন আফগান তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগস্পিনার রশিদ খান। রুদ্ধশ্বাস প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ শেষ বলে গিয়ে হারে মাত্র ১ রানে।

পরাজিত দলের হয়েও ম্যাচ সেরা হন মুশফিক (৩৭ বলে ৪৬)। কাজেই পরিসংখ্যান পরিস্কার জানিয়ে দিচ্ছে, সাকিবই পারেন ম্যাচ জেতাতে; কিন্তু একা তো আর বারবার দল জেতানো যায় না। সাকিবের সঙ্গে বাকিদেরও জ্বলে উঠতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com